Get A Successful & Satisfied Super Life By Mind Software to be A Super Human. Just Share your Ideas Thankfully with Himu!

সাইকোলজির ভুবনে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন

discovery mind

সাইকোলজির ভুবনে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন!

সাইকোলজির ভুবনে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করুন!

আমরা আমাদের জীবনে যা এক্সপেরিয়েন্সড করি, চারিদিকের পরিবেশ হতে যা দেখি বা শুনি অথবা বাস্তবতার পরিস্থিতি হতে যা শিখি - এই সবকিছুর ভেতরেও রয়েছে নিগূঢ় মনস্তাত্ত্বিক দর্শন; আসুন সেই মনস্তাত্ত্বিক দর্শনের দুনিয়া হতে কিছু ফ্যাক্ট এনালাইসিস করা যাক - যা হতে হয়তো আপনি নতুন করে ভাবনার মাধ্যমে নিজেকে আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন!

আমাদের চিন্তা জগৎ

বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসী চেতনায় আধ্যাত্মিকতার মতোই নানারূপ দর্শন [হিউম্যান সাইকোলজিক্যাল অবজারভেশন ও এনলাইসিসে লব্ধ হওয়া বিশেষ উপলব্ধিগত ধারণার বহিঃপ্রকাশ] সূত্রপাত ঘটে; এক্ষেত্রে সাইকোলজিক্যাল দর্শন আপনার চিন্তন পরিসীমার স্বরূপতা বিশ্লেষণে চিন্তা জগতের অবরুদ্ধ দুয়ার দিতে প্রয়াসী...

আমাদের চিন্তা জগতের অবস্থিতির আপেক্ষিক সমীকরণ এমনটা হতে পারে (হয়তো) : R+.....+(P+T)+P+(P-T) এখানে P হলো আমাদের সাইকোলজি [Psychology] এবং T হলো চিন্তা তথা Thinking এবং R হলো আপাত মূল সীমানা সূত্র তথা Root! আসুন বিষয়টা যদি আরেকটু সহজভাবে বিশ্লেষণ করতে উদাহরণ হিসেবে আমরা একটি পানির অণু H2O বিবেচনা করি - যেখানে বিবর্তনীয় ধারায় প্রবর্তিত মানুষ হয়তো একটি সময় আবিষ্কার করলো যে প্রকৃতির অনন্য যৌগ পানি এর রাসায়নিক সংকেত H2O যাতে দুটি Hydrogen পরমাণু (এককভাবে একত্রিত হাইড্রোজেন অণু) এবং একটি Oxygen পরমাণু সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বৈশিষ্ট্যময় পানির উদ্ভব হয়েছে। এখানে P সাইকোলজির মানুষ আরেকটু চিন্তা T যুক্তকরণে ভাবলো তবে ঐ হাইড্রোজেন বা অক্সিজেন পরমাণু'কে ভাঙ্গলে কি পাওয়া যাবে? আরও উৎকর্ষিত জ্ঞান অর্জনে (P+T) চিন্তনে পরমাণু ভাঙ্গনে পাওয়া গেলো ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ইত্যাদি মৌলিক কণা এরপর আরও সম্মুখ অগ্রগতিতে (P+T) চিন্তনের বুুদ্ধিমান প্রাণী তথা মানুষ আবিষ্কার করলো অস্থায়ী মৌলিক কণা, কোয়ার্ক আরও কতো কি.....এভাবেই আপাত P সর্বদাই (P+T) অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে [আদতে পিছনে] যেন মূল সূত্র R (Root) জানতে সক্ষম হয়! একজন মানুষ যিনি মুক্তমনা অগ্রগামী তিনি সর্বদাই আপেক্ষিকভাবে সময়ের সাথে সাথে P হতে (P+T) হয় যেখানে তার পূর্বের ফেলে আসা অবস্থিতির ইতিহাস মূল (P-T); এভাবে সর্বদাই নিত্য P নতুন (P+T) হয়ে আরেক নয়া P ফেলে আসে (P-T) আরও নয়া (P+T) অর্জনের প্রয়াসে.... তবে ঐ অজানা R (Root) আর কতোদূর? R (Root) সত্যিই কি সীমানা সূত্র? মূল আর মূলোৎপাটন কি হয়না নাকি হতে নেই অথবা না হওয়ায় মানুষ হওয়ার (বুদ্ধিমান প্রাণী) স্বার্থকতা? যদি তা একান্তই পরমভাবে মূল বা Root হিসেবে প্রতীয়মান হয় তবে মানুষ কি তখন তার চিন্তা T থামিয়ে দিবে? যদি সেই চিন্তা থেমে T=0 হয় তবে মানুষ কি ধ্বংষ হবে নাকি তখন নিজেই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে রিয়েলাইজ করবে সেই প্রাকৃতিক বিবর্তনে প্রকৃতির ঈশ্বর?! তবে T শূন্যতায় বুঝি ঈশ্বরের বৈশিষ্ট্য [যেমনটা আগেকার দিনে যখনই কোন রহস্যের মূল অজানা থাকতো তখনই মানব মস্তিষ্কে উদ্ভাবিত ভাবনা "তাহলে হয়তো উহার শক্তির মূল এক ঈশ্বর....আরকি"]?! অপরাপর P হতে (P+T) অগ্রসর হতে আমাদের ভেতর কি সেই তাড়না কাজ করে? ঐ তাড়না এর স্বরূপ কি বা কেমন?! উহার বাহ্যিক ধরণ হয়তো "কি-কেন-কিভাবে" এই তিন প্রশ্নের সমন্বয় তবে উহা আমাদের কোন R (Root) এর দিকে ধাবিত করছে আর সেটা সত্যিই কতোটা উপযুক্ত হচ্ছে [যদিচ উপযোগীতা নিতান্তপক্ষে প্রামণিত] - আর ঐ R (Root) এ কি সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান নিহিত আছে?!

প্রশ্নগুলো দার্শনিক হতে পারে - তবে নয়া দর্শনে যদি ভাবনার বিস্তরণে Logic এর আবিষ্কার কি আবির্ভাব হয় তবেই হয়তো স্বার্থকতা যা Root এর দিকে হাঁটি হাটি পায়ে পড়তে পড়তেও একটুও হলেও এগিয়ে নিয়ে যায়.....

ফ্রি মাইন্ড

এমন অনেক পরিক্রমা হয়তো আমাদের জীবনে অপ্রত্যাশিতভাবেই আসে যখন কিছু বিশেষ অব্যক্ত কথা নির্ভরযোগ্যভাবে [নির্ভার হতে] শেয়ার করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে - যা নিজের মনের মাঝে আটকে রাখা সম্ভব হয়না [বিষয়টা হয়তো অনেকটা দম বন্ধ হয়ে যাবার অনুভূতির মতোই] কিংবা অতি-সংবেদনশীল কোন কথা যা ব্যক্তিভেদে অনেকে নিজের মনের মাঝে চেপে রাখতে পারেন না যদিওবা কথা'টি জানাজানি হলে ঝামেলা বা বিড়ম্বনা তৈরী হতে পারে; আবার এমন কোন প্রতিক্রিয়া যা আপনি না তো বাহ্যিকভাবে প্রকাশ করতে পারছেন আর না তো আপনি সহ্য করতে পারছেন কিংবা আত্ম-অপরাধবোধে জাগ্রত হওয়া অনুশোচনা যা কনফেস করা বড্ড প্রয়োজন ইত্যাদি - এমতাবস্থায় ঐসকল গুপ্ত মনের সুপ্ত কথা আমরা প্রচলিত ধর্মের ঈশ্বরের নিকট ব্যক্ত করে থাকি যা আদতে বিশ্বাসী মানসিকতায় কেবল স্যাটিসফেকশান উপলব্ধি ভিন্ন আর কিছুই নয়; এমতাবস্থায় সাইকোলজিক্যাল দর্শন আপনাকে এমন এক উপায় বাতলে দিতে প্রয়াসী যার মাধ্যমে আপনি মনের সুপ্ত বার্তাগুলি নিরাপদ উদগীরণে যেমন 'ফ্রি মাইন্ড' গেইন করতে পারবেন তেমনি তাতে আপন মূল্যায়নে ইফেক্টিভিটি লাভ করবেন!

সর্বপ্রথম এমন এক পরিবেশ নির্বাচন করুন যা নিরাপদ এবং নির্মল; যাতে কোনরূপ বাহ্যিক আলো বা কোলাহল থাকবে না - সময়গত দিক হতে এটি মধ্যরাত এপ্রোপিয়েট বিবেচনা করা যেতে পারে >>> এখন ঐ আবদ্ধ পরিবেশে একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে আয়নার দিকে আপন মুখাবয়বের প্রতিবিম্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন [যেন এটা আপনারই আরেক মানসিক প্রতিকৃতি] >>> এখন আপনার মনের কথাগুলি শব্দ ছাড়াই মুখে উচ্চারণ না করে ঐ প্রতিবিম্বকে বলুন [এমন যে সে আপনার অন্তর্যামী - আপনি যা বোঝাতে চাইছেন সেটা প্রচলিত ভাষাগত প্রকাশ ব্যাতিরেকেই তা উপলব্ধি করতে পারছে] >>> আপন মনের ঐসকল কথাগুলো বলা শেষ হলে এটার প্রতিক্রিয়ায় আয়নায় আপন প্রতিবিম্ব যেন আপনাকে কি করা উচিত/কোন করা অনুচিত হয়েছে/স্বান্তনা/নিজেকে আস্থা প্রদানে ইন্সপাইরেশান/ মোটিভেশান/আত্মবিশ্বাস/পরামর্শ/উপদেশ প্রভৃতি প্রযোজ্য সাজেশন মৌখিক উচ্চারণ ছাড়াই নির্দেশনা দিচ্ছে - যা আপনি দ্ব্যার্থহীনভাবে গ্রহনে প্রয়াসী হবেন!

আরাধনা

প্রচলিত বিভিন্ন ধর্ম চিন্তনে ঈশ্বর তুষ্টির উদ্দেশ্য [পরোক্ষভাবে সেটা কখনো এভাবেও বলা হয়ে থাকে আপনার নিজের জন্যই পুণ্য অর্জনের প্রয়াসে ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গিত আরাধনা] নানান প্রকার আচার প্রথায় উপাসনা করা হয়ে থাকে - যদিও তাতে ফিজিক্যাল ও সাইকোলজিক্যাল কিছু পজেটিভ ইফেক্ট বিদ্যমান বটে [যেমন ইসলাম ধর্মের সালাত নামক উপাসনায় শারীরিক ব্যায়াম এর সহিত মানসিক প্রশান্তি লাভের প্রয়াসে রিলাক্স ফিল করা অথবা হিন্দু ধর্মের পূজা অর্চনায় খুশির উদ্দীপনায় মস্তিষ্কে আনন্দের হরমোন নিঃসরণ; তথাপি বিষয়টা এমন নয় যে আরাধনার কারনেই আপনি পজেটিভ ইমপ্যাক্ট গেইন করছেন বরং এমনটা যেন ব্যক্তি বিশ্বাসের হেতু আরাধনায় সহজাত সাইকোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়ায় এই ইফেক্টিভিটি লব্ধ হচ্ছে মাত্র] তথাপি যে ঈশ্বরের প্রমানসাপেক্ষ অস্তিত্ব'ই অদ্যবধি প্রায় শূন্য তাতে যাবতীয় উপাসনায় লব্ধ শুধুমাত্র শারীরিক ও মানসিক এডভান্টেজ লাভ ব্যতীত আদতে সকলি কেবলমাত্র অসাড় ও সময়ের অপচয় মাত্র - তদুপরি এই উপাসনার প্রেক্ষাপটে বাস্তবিক লব্ধি যখন শূন্য তখন তাতে কনফিউশান ও হেজিটেশানে ডিপ্রেশনের সম্ভাবনাও বিদ্যমান থাকে বৈকি; অপরাপর মহাবিশ্বের প্রভু ঈশ্বর মাহাত্ম্যে তাকে প্রশংসা স্বরূপ কেবলি মানবীয় উপসনা বিষয়টি কতোই না নির্লিপ্ত!

যাই হউক সাইকোলজিক্যাল দর্শন কর্তৃক সাজেস্ট করা উপসনার স্বরূপ এমন যেন আপনি আপনার সুষ্ঠু এবং সুস্থ জীবনচর্চার লক্ষে আপনার নিজের শারিরীক যত্নের প্রতি পরিপূর্ণভাবে মনোযোগী এবং ডেডিকেটেড হবেন [মনে রাখবেন: সুস্থতা সফলতা লাভের জন্য অতি আবশ্যক নিয়ামক - তথাপি শারীরিক সুস্থতা আপনার মানসিক সুস্থতার অন্যতম প্রধান শর্ত]; সাইকোলজিক্যাল সুস্থতার জন্য আপনাকে নিজের জীবনাচরণে আপন মানসিক অবস্থিতি এনলাইসিস [পর্যবেক্ষন স্বাপেক্ষ পর্যালোচনা] করতে হবে - তাতে এমন কোন কোন বিষয় বিদ্যমান যা সুস্থ মানসিক বিকাশে অন্তরায় এবং উহার কারন অনুসন্ধানে দায়ী ফ্যাক্টসমূহ; এরপর উহা সলিউশানের মাধ্যমে আপন সুস্থতা নিশ্চিতকরণ [এমন হতে পারে যে মানুষ যেমন ভুলের মাঝে বাস করে সেটার অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারে না তেমনি আপনিও হয়তো আপন সুপ্ত মানসিক অসুস্থতার মূল ফ্যাক্টগুলি আইডিয়েন্টিফাই করতে সক্ষম হচ্ছেন না - সেক্ষেত্রে খোলা মনে একজন অভিজ্ঞ সাইকিয়াট্রিস্ট বা সাইকোলজিস্ট এর শরণাপন্ন হতে পারেন]। অন্যদিকে শুধুই যে আপন মানসিক স্থিতি থেকে নেগেটিভ বিষয়গুলোর অপসারণ করা তা নয় মানসিক উৎকর্ষতা সাধনে প্রয়াসী হওয়া - যাতে জ্ঞান অর্জন, যুক্তিবাদী মানসিকতা, তীক্ষ্ণ অবজারভেশন সক্ষমতা, সহিষ্ণুতা, বুদ্ধিদীপ্ততা, ধৈর্য ও অধ্যবসায় ইত্যাদি পজেটিভ বিষয়গুলোর সংযোজন করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। অপরাপর আপনার মানসিক সুস্থতায় একটি আদর্শিক লাইফ রুটিন ফলোআপ করা উচিত যেথায় স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্টে খাবার গ্রহন - নিয়মিত ব্যায়াম - সুস্থ বিনোদন - পরিমিত ঘুম ইত্যাদি সামগ্রিক বিষয়গুলি সংশ্লিষ্ট থাকে!

এখানে মানসিক স্থিতিশীলতা অর্জনে Mediation প্রক্রিয়ার অবতারণা করা হলো:-

শুরুতেই আপনার মনকে সম্পূর্ণ প্রশান্ত করতে হবে যার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এনভায়োরমেন্ট হলো "মধ্যরাত/শেষরাতে একাকী একটি অন্ধকার ঘর যেখানে বাইরের থেকে কোন আলো বা শব্দ প্রবেশ করতে পারবে না - কমফোর্ট ফিল করার জন্য আপনি আরাম করে বসে অথবা বিছনাতে শুয়ে নিতে পারেন"; প্রথাগত ঋষির মতো ধ্যান ধরে বসে থাকার প্রয়োজন নেই ! তথাপি উল্লেখিত এনভায়োরমেন্টাল বিষয়টি যদি আপনার নিকট খুবই Weird এবং Mysterious মনে হয় তবে জানিয়ে রাখি এটি শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবেশে গভীর রাতের নিঃস্তব্ধ -নির্জনতায় আপনার মন ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি এবং স্বস্তি নিয়ে আসার জন্যই সাজেস্ট করা হয়েছে, অপরাপর আপনার "সাব-কনশিয়াস মাইন্ড" এই রাতের বেলায় সবার্ধিক সক্রিয়ভাবে Psychological Command গ্রহণ করে তা বাস্তব জীবনে Implementation করতে অধিক সক্ষম! আপনার শরীরটাকে সম্পূর্ণ নির্ভার করে রিলাক্স মোডে নিয়ে আসুন >>> ৩ বার নাক দিয়ে বুক ভরে শ্বাস নিন এবং খুব ধীরে ধীরে তা মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন >>> নিজের মনের ভেতরে থাকা সমস্ত রাগ,ক্ষোভ,হিংসা প্রভৃতি নেগেটিভ ইনটেনশন ভুলে যান >>> মানসিকভাবে নিজেকে পুরোপুরি হালকা অনুভব করুন >>> অতঃপর আপনার চোখ দুটি বন্ধ করে ধীরে ধীরে নিজের ঠোট প্রসারিত করে আপনা-আপনি মুচকি হাসুন >>> ঠোটে হাসির রেশ রেখেই ৫ সেকেন্ড পর চোখ খুলুন >>> এই মুহূর্তে আপনি নিজেই এক প্রকার সূক্ষতর মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন >>> এখন আপন মনে এভাবে কল্পনা করুন আপনার কপালের মাঝে একটি ছোট্ট আলোক বিন্দু তীব্র উজ্জ্বলতায় দীপ্তি ছড়াচ্ছে >>> ঐ আলোকচ্ছটার দ্যুতি'তে আপন মনের যাবতীয় নেগেটিভ ইনআরশিয়া দূরীভূত হয়ে যেন আপনি নতুন এক সম্ভাবনাময় সফল জীবনের দিকে ধাবিত হচ্ছেন! [উল্লেখ্য এখানে কল্পনায় যে 'এক উজ্জ্বল আলোক বিন্দু' এর অবতারণা করা হয়েছে তা মূলত আপনার আপন মনের 'ইচ্ছাশক্তি' এর একরূপ Visualistic উপলব্ধি মাত্র]।

সর্বোপরি আরাধনা যেন এমন হয় তাতে আপনার আরধ্য সফলতা লাভ হয় - কেবলমাত্র মেকি স্বান্তনা নয়!

উৎসব

"ধর্ম যার যার উৎসব সবার" কথাটির মর্মার্থ উপলব্ধি করতে সবার আগে জানা উচিত "ধর্ম" কি? এবং "উৎসব" কাকে বলে? যদি ধর্ম অর্থ বৈশিষ্ট্য হয় তবে "মানুষের চিরন্তন ধর্ম সে মানুষ" যেটা অন্যান্য জীবের ধর্ম হতে মনুষ্য জাতির ধর্মের স্পেসিফিকেশান ঘটায় [উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে কুকুরের ধর্ম হলো সে কুকুর - যাতে তার বৈশিষ্ট্য জানা যায় / সিংহের ধর্মে সিংহের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠে তেমনি মানুষের ধর্মে সে যে একজন মানুষ এই বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠায় স্বাভাবিক এবং যথেষ্ট] - অন্যদিকে "উৎসব হলো আনন্দ উদযাপন" যেখানে মানুষের ধর্মের সহিত আনন্দ উদযাপনে পরস্পর শামিল হওয়া এবং তা উপভোগ করাটাই যথেষ্ট সমীচিন [যদি প্রচলিত ধর্মের স্বাপেক্ষেও বিবেচনা করা হয় যে যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসে তার উৎসবে অন্যান্য প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসীরা শামিল হয়ে "ধর্ম যার যার উৎসব সবার" কথাটির বাস্তবায়ন করবে তবুও তা মোটেই দোষনীয় নয় বরং তা প্রশংসনীয় - এক্ষেত্রে প্রচলিত ধর্মের অনুষ্ঠানের আচারগত ক্রিয়াকর্ম এবং তাতে আনন্দ উদযাপনে দুটি সম্পূর্ণই স্বতন্ত্র হওয়াটাই উচিত]। যাই হউক সাইকোলজিক্যাল দর্শন আপনাকে পার্থিব সকল ধর্মের উৎসবেই আনন্দ উপভোগ করতে বলবে [যাতে মস্তিষ্কে আনন্দ ও সুখের হরমোনোর নিঃসরণ ঘটে] - যদিনা উহা অন্যের আঘাতের বা আপন ক্ষতির কারন হয়; তদুপরি উৎসব উদাপনে ধর্মের কোন আবশ্যকতা নেই বরং মানুষ জাতির সকল সম্প্রদায় মিলে একটি সুবিধাজনক সময়ে সকলে মিলে আনন্দ ফূর্তির অবকাশ ঘটাতেই পারে [উপলক্ষ্য হয়তো প্রয়োজন - তাতে প্রচলিত সকল ধর্ম মিলিয়ে আচার অনুষ্ঠানের অভাব অন্তত নেই; তপুপরি উৎসব যেথায় মুখ্য সেখানে উপলক্ষ্য থাকাটা নিতান্তপক্ষে বাধ্যতামূলক অন্তত নয়; যেমন "ভূত বলতে কিছু নেই সেটা সকলেরই জানা তথাপি "হ্যালোইন নাইটে ভৌতিক আবহে যে উৎসব তা অন্তত সাইকোলজিক্যালি আনন্দ উদ্দীপনা প্রাপ্তির তরে ইনভ্যালিড নয়"]।

ধর্ম বা ধর্মীয় চেতনা অক্ষুণ্ণ রেখে অথবা বাদ রেখেও উৎসব উপভোগ করা কপটতা নয় বরং মুক্ত মনের পরিচায়ক বটে এবং এই মুক্তমনা মানসিকতা আপনার সাইকোলজিক্যাল ডেভোলপমেন্টের জন্য বড্ড ইফেক্টিভ!

শয়তান

প্রচলিত কিছু ধর্ম বিশ্বাসে ঈশ্বরের বিপরীতে এমন আরেক অস্তিত্বের অবতারণা করা হয় যাকে শয়তান/ইবলিশ/অসুর/রাক্ষস নামে অভিহিত করা হয় - যা আদতে মন্দের স্বরূপ বোঝায়; যেখানে "ঈশ্বর বনাম শয়তান" এর চ্যালেঞ্জিং নাট্যরূপ বিদ্যমান থাকে; যেখানে প্রচলিত ঈশ্বর এর ভ্যালিডিটি শূন্য সেথায় ঈশ্বর ধারনায় সৃষ্ট শয়তান এর সত্বার অবস্থিতিও অবাস্তব - এক্ষেত্রে সাইকোলজিক্যাল দর্শন আপনাকে সেই শয়তান হতে সাবধান করছে যা আপনার মাঝেই সকল মন্দ প্রবৃত্তি [বিকৃত সাইকোলজিক্যাল স্যাটিসফেকশান লাভে পার্থিব ঐ সকল ক্রিয়া কর্মের অনুপ্রেষণা যা আপনার নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতির কারণ] এর স্বরূপতা বহনকারী মানসিক অবস্থিতি [কার্যত এটা শুধুই যে কনশিয়াস মাইন্ডের লজিক্যাল লাভ/ক্ষতির বিচার বিবেচনা তা নয় বরং আক্ষরিকার্থে এটি সাবকনশিয়াস মাইন্ডের অবচেতন তাড়না - যা বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক]; মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, মানবিকতা, কর্তব্যপরায়ণতা, আত্মশুদ্ধির মনোভব, বিনয়ী, সততা প্রভৃতি মানবিক গুণাবলি অর্জন এবং পরিস্ফুটন [আপন জীবনে বাস্তবায়ন] এর মাধ্যমে আপনি উক্ত শয়তান এর সহিত যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে মহৎ এবং সফলকাম জীবন গড়তে সক্ষম হবেন!

মৃত্যু

মৃত্যু নিয়ে সাইকোলজিক্যাল দর্শন এর স্বীকার্যসমূহ আসুন রিয়েলাইজ করতে প্রয়াসী হই...

মানব জীবনে "মৃত্যু" এক রহস্যময় বিষয় যাতে নির্লিপ্তভাবে মিশে আছে নানান উপকথায় বহু কুসংস্কার - যা আমরা অদ্যবধি জানতে পারিনি সেটার সর্বোচ্চ সঠিক ও সত্য উত্তর হলো "জানি না" তবে এটার অর্থ এই নয় যে না জানার হেতু তাতে নানান অযৌক্তিক ও অপ্রমাণিত বিষয়ের সংযোজনে তাকে রহস্যময় করা কিংবা উক্ত অযৌক্তিক ও অপ্রমাণিত বিষয়গুলো সত্য বলে ভেবে নেওয়া বা দাবী করা! "মৃত্যু হলো মানব জীবনের জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়া বন্ধ হওয়া" যার বহু ফিজিক্যাল ও সাইকোলজিক্যাল কারণ থাকতে পারে। মৃত্যু বলতে আমাদের বোঝা উচিত "ব্রেইন ডেথ" বা মস্তিষ্কের যাবতীয় কার্যকলাপ বা এক্টিভিটি কালপস করা - তাতে আমাদের যাবতীয় চিন্তা ও চেতনার সমাপ্তি ঘটে!

মৃত্যুর সময় কষ্ট হতে পারে বলে ধারনা করা হয় - তথাপি এমনটা হওয়া অস্বাবিক তো নয় কেননা ধরে নিচ্ছি "কেউ একজন এক্সিডেন্ট করলো এবং তীব্রভাবে ব্যাথা পেলো তাহলে সেই এক্সিডেন্টের স্বরূপ মৃত্যু হলে তাতে ব্যথা বা কষ্ট পাওয়া কেন অস্বাভাবিক হবে না?" তদুপরি এটাও নিশ্চয়ই জানা আছে যে ব্যাথার অনুভূতির একটি পর্যায়ে ব্রেইন এক্টিভিটিতে হিউম্যান সেন্স স্ট্যাবল থাকে না - তখন কোন কষ্টই অনুভূত হয়না; অপরাপর মৃত্যুর সময় মস্তিষ্কের ইএক্টিভ হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন হতে পারে তাই মৃত্যু কষ্ট বিষয়টি ব্যক্তিরূপ রিলেটিভ ফ্যাক্টর। এটার সম্ভাবনাও থাকে যে মৃত্যুর সময় আমাদের যে কষ্ট লাগার অনুভূতি [ঠিক একদম মৃত্যুর সময়] সেটা নিষ্ক্রয় হয়ে যায় [কার কিসে কেমন আর কতোটুকুতে কিরূপ অবস্থিতিকে কষ্ট বলা যায় সেটিও তো রিলেশনাল রিলেটিভ ফ্যাক্ট]! অনেক সময় মৃত্যুর মুহূর্তে শরীরে ঝাকুনি/কাপুনি /খিচুনি সেটা রিফ্লেক্সের কারণে ঘটে - তবে সেটা দেখেই এটা ভাবনার কারন নেই যে তার মৃত্যুতে সে কতোই না কষ্ট পাচ্ছে অথচ হয়তো তারও পূর্বে তার ব্যথা অনুভবের সেনসেশানারী নার্ভ নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে! অন্যদিকে কোমা হতে ফিরে আসা বা নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স লব্ধ অধিকাংশ মানুষের মতে ঐ সময় তারা কোন ব্যথা বা কষ্ট অনুভব করেনি - সেই সময়ের বিচিত্র অনুভূতিগুলোও সাইকোলজির সহায়তায় যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করা চলে। বর্তামানে পেইনলেস ডেথ নিয়েও গবেষণা চলছে যা হতে আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যেতে আমরা সুন্দর জীবনের সমাপ্তিটাও সুন্দরভাবে ঘটাতে সক্ষম হবো।

মৃত্যু হলো মস্তিষ্কের জটিল জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার সমাপ্তি; যেখানে মৃত্যুর পর মানুষের আত্মার কি হয় এরূপ প্রশ্ন নিতান্তপক্ষে অবান্তর কেননা যেখানে আত্মা বলতে মূলত হিউম্যান ব্রেইনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বরূপ কনশিয়াস, সাবকনশিয়াস ও আনকশিয়াস অংশের পারস্পরিক অবস্থিতি নির্দেশ করে সেখানে বিক্রিয়ার নিঃশেষে মস্তিষ্কের ইনক্টিভিটিতে আত্মা বা চেতনার কোনরূপ স্থিতির অবকাশই থাকে না!

মৃত্যু আপাতভাবে এখন অবধি সত্য - এই সত্যকে ভয় করে জয় করা যাবে না বরং স্বাভাবিকতায় তাকে গ্রহন করার মানসিকতায় কাম্য - এই সত্যটাই স্বাভাবিকতায় হলো সাহসিকতা; মৃত্যু মানেই দুঃখ নয় বরং মাঝে মাঝে দুঃখ বা কষ্ট রিলিফের অন্যতম উপায়ান্তরও বটে [মৃত্যু মানেই প্রশান্তি নয় তথাপি অশান্তি হতে পুরোপুরি রিলিফ পাওয়া একটি পথ] তবে জীবনের তাৎপর্যে ইচ্ছাকৃত মৃত্যুর মানসিকতা পরিহার করে জীবনে সফলতা লাভের প্রয়াসী হওয়ায় তো একরূপ মৃত্যু জয়!

স্বার্থক মৃত্যু হলো এমনি যেন আপনার মৃত্যুটাও যেন মানবজাতির অগ্রসরে ভূমিকা পালন করে - তাতে নানান উপায়ের মধ্যে মেডিকেল রিসার্চে দেহদান করা যেতে পারে অথবা অর্গান ডোনেট করা যেতে পারে [স্মৃতিফলকে স্মৃতিচারণ ব্যতীতও এমন মৃত্যুর ডেডিকেশন এপ্রিসিয়েট করা উচিত]।

সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।

Post a Comment

Cookie Consent
Discovery Mind serve cookies on this site to Analyze traffic,Remember your Preferences & Optimize your Experience!
Oops!
Oops! It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again on Discovery Mind!
AdBlock Detected!
Discovery Mind have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue Discovery Mind earn by the advertisements is used to manage this website, Discovery Mind request you to whitelist our website in your adblocking plugin. Thank You!
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.
A+
A-